জেনেছি একদা ভবপুরে যত সুখ আছে মোর জননীর যতন-আদরে, আবার বুঝিনু- বাড়ি-গাড়ি-বিত্ত-ই মানবেরে ভাসায় সুখসাগরে। নিশিতে ঘুমের ঘরে ভাবনাপুরে থাকি যাতনা সহিনু একাকী শত, দিশাহারা হয়ে বহু দিবস-রজনী সুখপাখিটারে খুঁজিনু অবিরত। দিন গেল, এল দক্ষিণা মোর হাতে, হলো কত কী ! সুখ দিল না তবু ধরা। মনে জাগল নীরবতা, নিঃঙ্গতা প্রাণে বিষণ্ন জীবনে শুরু হলো বৃষ্টি ঝরা। কষ্টের নীলাকাশ হেরি উকি দিল একদিন কাঙ্খিত সুখচাঁদ তার সনে। হৃদয় উজাড়ি, হয়ে প্রেমের পূঁজারী তারে জড়িয়ে ধরিনু প্রাণে। ক্ষণপরে সমাজনীতির পানে সম্মান ছুড়ে তারে ঘরে তুলে নিলুম অবেলায়। কেটে গেল বহুকাল প্রেমসাগরের পাড়ে থেকে তার সনে নিরালায়। বহতা নদীর মতো ধীরে ধীরে চলল জীবন রাখিনু তারে কিছুকাল বুকমাঝে সুখনীড়ে ঈর্ষা হলো কি না ? আল্লাহ-ভগমান-ইশ্বর তারে অবেলায়-ই নিল কেড়ে। হায় আফসোস! সুখপাখি মোর চলে গেল সহস্র স্মৃতি বুকে পুরে দিয়ে, হারানো দিশার মাঝে যে ছিল নিশানা মোর, সে-ই সব কূল গেল নিয়ে। প্রাণে শুরু হলো তাই এক নতুন অধ্যায় যার নাম দুঃখ-কষ্ট-বেদনা করি দেখা তার সনে ভাবনার সাগরে ডুবে সারাবেলা হয়ে রই আনমনা। শুধু প্রশ্ন জাগে- ওহে সুখ তুমি আর আছ কিসে? কাছে এসে কেন হয়ে গেলে অধরা? নিঃসঙ্গ এ ব্যকূল হিয়ায় যদি ফিরে আসতে আবার শেষ প্রহরে মেঘ হেরি উকি দিত শুকতারা। তাই ফেলে আসা দিন আর বেদনার স্মৃতিগুলো হৃদয়কুটিরে আসি সুখের সুরে কয় ডাকি- `ওরে বাছা তর নীরবতা-ভাবনার অন্তরালে যা আছে কষ্টরূপে, তাই তর সুখপাখি।’
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মোঃ ইকরামুজ্জামান (বাতেন)
মারহাবা সুন্দর একটি কবিতা পড়লাম ভালই লাগলো বিশেষ করে ((ক্ষণপরে সমাজনীতির পানে সম্মান ছুড়ে
তারে ঘরে তুলে নিলুম অবেলায়।
কেটে গেল বহুকাল প্রেমসাগরের পাড়ে
থেকে তার সনে নিরালায়।
বহতা নদীর মতো ধীরে ধীরে চলল জীবন
রাখিনু তারে কিছুকাল বুকমাঝে সুখনীড়ে
ঈর্ষা হলো কি না ? আল্লাহ-ভগমান-ইশ্বর
তারে অবেলায়-ই নিল কেড়ে।)) এই চরন গুলো ।
sakil
ভালো লিখেছেন আপনি তাই বলে বলব না এই কবিতাটি অসাধারণ হয়েছে . কারণ আপনি যে রীতিতে লিখেছেন এখন সে রীতির তেমন একটা চল নাই . আধুনিক কবিতায় শব্দ ভান্ডারে অনেক নতুনত এসেছে আশা করি সেসব বিষয় গুলো ভালো করে লখ্খ করবেন . আপনার লেখার হাত ভালো তাই আপনার jonno শুভকামনা রইলো .
আশা
ম. রহমান ভাইয়া- পড়ার জন্যে অসংখ্য ধন্যবাদ। নতুন শুরু করেছিলামতো তাই এমনটি হয়েছে। সামনে দিন বদলের সাথে খাপ খাইয়ে লিখতে চেষ্টা করব ভাইয়া। উৎসাহ দেয়ার জন্য আপনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ ভাইয়া।
মোঃ মুস্তাগীর রহমান
তোমার কবিতা ভালো হয়েছে........শব্দের জাটলতা খুঁজে পাইনি..........দিন বদলের সাথে সাথে......কথ্য ভাষার পরিবর্তণ হয়.......আজ থেকে ২০০ বছর আগে যে শব্দ ব্যবহার হত আজ আর হয় না,করলে দোষের কিছু আছে বলে আমি মনে করি না.......সামনে এগিয়ে যাও.........
আশা
মানুন ভাইয়া পড়ার জন্যে আপনাকে ধন্যবাদ। আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন। কিন্তু যখন আমি লিখেছিলাম তখন নিজেকে খুব অতীতে নিয়ে গিয়েছিলাম। তাছাড়া কবিতার যে ব্যথাটা তা আমার দাদুভাইর। আব্বুর কাছে শুনেছিলাম দাদুর কষ্ট আর প্রেমকাহিনী। আমার আব্বুকে খুব ছোট রেখেই দাদুমনি চিরনিদ্রার দেশে চলে গিয়েছিলেন। দাদুভাইও তার তিন ছেলে এক মেয়ের সুখের কথা ভেবে দ্বিতীয় বিয়ে করেন নি। তাছাড়া আমিও দেখেছি আমার দাদুভাই দাদুমনির জন্যে কতটুকু কেঁদেছিলেন। দু'বছর হয় আমার দাদুভাইও ওপারে চলে গেছেন। তাই দাদু ভাইয়ের জন্যেই কবিতাটা লিখেছিলাম। মূলত: কবিতাটা আরো দু'বছর আগে লেখা। কষ্ট সংখ্যা হঠাৎ সামনে পড়ার কারণেই কবিতাটা এখানে পোষ্ট করেছি। তো যাই হোক আমি কিন্তু কবিতা কম লিখি। গল্পই বেশি লিখি। আগামী সংখ্যায় দু'টো গল্প পাবেন। এর মধ্যে একটি আছে আমার লেখা সেরা গল্প। ভালো থাকবেন ভাইয়া।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।